এইচ,এম,বদিউর রহমান বদি: নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়িতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক গ্রাম পুলিশ সহ দুই নারী গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার দূর্গম দোছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাহির মাঠ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ওই গ্রামের গ্রাম পুলিশ মোঃ ওসমান গণি (৪০) পিতা মৃত সুলতান আহমদ, কুলচুমা খাতুন (৩০) স্বামী ওসমান গণি, আমিনা খাতুন (৬৫) স্বামী মৃত সুলতান আহমদ। আহতদের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আলম বাসি,কালু’র সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , দীর্ঘদিন ধরে বাহির মাঠ গ্রামের আপন চাচাতো-জেঠাত ভাই মোঃ ইসলাম,ছৈয়দ আলম গংদের সঙ্গে গ্রাম পুলিশ ওসমান গণি’র সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো এর জের ধরে শুক্রবার বিকালে মোঃ ইসলাম গং ওই জমিতে মাটি কাটতে গেলে ওসমান গং বাঁধা প্রধান করেন।এই সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এতে তারা গুরুতর আহত হয়।
হাসপাতালে চিকিসাধীন ওসমান গণি বলেন, ‘আমাদের বাবার জমিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে আছি। ওই দিন মোঃ ইসলাম, ছৈয়দসহ একদল মহিলা নিয়ে দেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় আমি ও আমার মা আমিনা খাতুন, স্ত্রী কুলচুমা আহত হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিরোধের ওই জমি নিয়ে সালিশ বৈঠকের কথা চলছিল। সালিশ বৈঠক না হওয়ায় আমি মাটি কাটতে গেলে বাঁধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার শফিক আহম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি গত বছর তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবউল্লাহ মিমাংসা করে দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।